কচু ক্ষেতের আগাছানাশক ও আগাছা দমন পদ্ধতি
কচু ক্ষেতের আগাছানাশক
কচু ক্ষেতের আগাছানাশক গুলি একটা বড় অংশ হলো চিকন পাতা জাতীয় আগাছা যেমন: শ্যামা, ক্ষুদে শ্যামা, মুথা, বিরকিন্নি, দূর্বাঘাস, ধানের চারা ইত্যাদি। এই আগাছাগুলো দমনের জন্য (কুইজালোফপ - পি ইথাইল) রাসায়নিক উপাদান যুক্ত আগাছানাশক ব্যবহার করতে হয় এবং এই আগাছানাশক কচুর উপর প্রয়োগ করলে কচুর কোনো ক্ষতি হয় না। বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত “কুইজালোফপ - পি ইথাইল” যুক্ত আগাছানাশকের নাম হলো:
-
-
- জি ক্লিন ৫ ইসি
- নিক্তি ৮.৮ ইসি
- টাইজালো সুপার ৫০ ইসি
-
উল্লিখিত আগাছানাশক ঔষধ গুলোর যে কোন একটা ব্যবহার করলে কচু ক্ষেতের আগাছা গুলো গোড়া থেকে নির্মূল হবে নির্মূল হবে। কচু ক্ষেতের আগাছা নাশক ব্যবহারের উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:
উপকারিতা
-
-
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই: এটি ব্যবহারে কচুর গাছ ঝিমিয়ে পড়া , পাতা লাল হওয়া এইরকম কোন ক্ষতি হয় না সুতরাং কচুর উপরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, ব্যবহারে আপনার কাছে সুস্থ সবল থাকবে।
- গোড়া নির্মূল: কচু ফসলে চিকন পাতা জাতীয় আগাছা যেমন: ধানের চারা, শ্যামা, ক্ষুদে শ্যামা, দূর্বা, বিরকিন্নি, আদা গেটে এ-ই রকম বিভিন্ন আগাছার গোড়া থেকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করে।
- স্বল্প খরচ: এই আগাছা দমন করতে কম খরচ হয়।
- নিশ্চিন্তে ব্যবহার: আগাছানাশক কচুর এর কাণ্ড ও পাতায় লাগলেও কচু কোন ক্ষতি হয় না, কিংবা গ্রোথ থামে না।
- পরিবেশগত সুবিধা: যেহেতু এটি নির্দিষ্ট আগাছার উপর কাজ করে, এইজন্য এটি পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকর।
-
অপকারিতা
-
-
- সীমাবদ্ধতা: এই আগাছানাশকে ব্যবহার করলে কিছু আগাছা যেমনঃ ভাদাইল , শুষনি, কিছু চওড়া পাতা আগাছা দমন হয় না।
-
সতর্কতা
যদিও এটি ফসলের জন্য নিরাপদ, তবুও সঠিক মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। এটি কোন ফসলের অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার না করা উত্তম , তবে এটি সাধারণত অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কিছুদিন পর তা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
সুতরাং, কচুক্ষেতে কুইজালোফপ-পি-ইথাইল যেমন: জি ক্লিন ৫ ইসি , নিক্তি ৮.৮ ইসি , টাইজালো সুপার ৫০ ইসি এর ব্যবহার কৃষকদের জন্য আগাছা নিয়ন্ত্রণে একটি কার্যকর সমাধান ।